একটি হৃদয়বিদারক সত্য গল্প থাইরয়েড ক্যানসার | A Heartbreaking True Story of Thyroid Cancer

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি প্রধান শখা। যমুনা নদীর পুর্ব নাম ছিলো জোনাই নদী। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে যমুনা নদীর সৃষ্টি হয় যা রাজশাহী ও ঢাকা কে আলদা করে। যমুনা নদীত সর্বাধিক প্রস্থ ১২০০০ মিটার। এই যমুনা নদীর তীর ঘেষা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার এক মনোরম যায়গা মেঘাই ফেরিঘাট নামে পরিচিত।
নামে মেঘাই ফেরিঘাট হলেও এই জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছে আর তাইতো প্রতিদিনই অসংখ মানুষের আনাগোনা হয় এখানে। এখানে প্রতিদিন সিরাজগঞ্জ কাজিপুর ও তার আশেপাশের বিভিন্ন যায়গা থেকে এবং বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে আসে প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া গায়ে লাগাতে।
এখানে আপনি নদীর তীর ঘেসে বেড়াতে পারবেন। নদীতে নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে ঘুরতে পারবেন। আপনি চাইলে নদীর ওপারে মাইঝবাড়ি গ্রামে যমুনার জেগে ওঠা চড়ে গিয়ে সময় কটাতে পারেন। এছাড়াও আপনি বন্ধুবান্ধব নিয়ে নৌকা ভাড়া করে নাটুয়ার পাড়া চড়ে সারাদিন হৈ হুল্লোড় করে কাটাতে নিমিষেই দিন কাটাতে পারেন। ছুটির দিনে মানুষের আনাগোনা অনেকটা বেশি হয় তবে আপনি যদি নিরিবিলি পরিবেশ পেতে চান তো ছুটির দিন বাদে আসুন।
এখান থেকে আপনি নৌকা বা স্পিডবোট ভাড়া করার সময় দর-দাম করে নিবেন। আর যদি কোন প্রকার কোন ঝামেলায় পড়ে যান তো এখানে টুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। আশা করি কোন সমস্যা হবেনা কারন এখানকার স্থানীয় মানুষগুলো অনেক ভাল এবং হেল্পফুল।
এছাড়াও নদীর পাড়ে আছে সুন্দর সুন্দর চেয়ার যেখানে আপনি বসে নদীর সৌন্দর্য ও পাগলা হাওয়ায় মন ভাসিয়ে গলা ছাড়িয়ে গান গাইতে পারেন।
বগুড়া থেকে এখানে আসতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে বাসে করে শেরপুর ধুনট মোড়ে আসতে হবে। তারপর আপনি ধুনট মোড় থেকে সি এন জি অথবা বাসে করে ধুনট বাজারে আসবেন। তারপর ধনট বাজার থেকে সি এন জি করে মেঘাই ঘাটে যেতে পারবেন আর যদি ঢাকা থেকে আসেন তো প্রথমে আপনাকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত আসতে হবে তারপর বাসে করে সিরাজগঞ্জ আসতে হবে তারপর সিরাজগঞ্জ থেকে কাজিপুর আসতে হবে। তারপর কাজিপুর থেকে সি এন জি করে মেঘাই ঘাটে আসতে পারবেন।
হ্যাঁ, আপনি চাইলে এখানে ও রাত কাটাতে পারেন। এখানে রাত কাটাতে হলে থাকতে হবে উপজেলা ডাকবাংলো তে। অথবা সিরাজগঞ্জ শহরে অনেকগুলা হোটেলে। আর বগুড়ার জেলার পর্যটন মটেল, হোটেল নাজ গার্ডেন, হোটেল মম ইন এবং আকবোরিয়া হোটেলে থাকতে পারেন।
পরিবেশ কখনো নস্ট করবেন না। সবার সাথেই সংযতভাবে কথা বলুন আর বেশি বেশি ভ্রমণ করুন। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
চিকাশি মরছা সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন