সম্মানিত ভিউয়ার্স, আসসালামু আলাইকুম। আজ শুক্রবার, মাত্রই আমরা জুম্মার নামাজ শেষ করলাম। এখন আমি যাচ্ছি আমার দাদির কবর যিয়ারত করতে। আমার সাথে আমার আব্বু আছে। আমার আব্বু প্রায় শুক্রবারেই দাদির কবর যিয়ারত করেন, আমিও সাথে থাকি। তো আজ আমি শুনাবো আমার দাদীর মৃত্যুর গল্প। আমার দাদীর মৃত্যুর পুর্বে কি হয়েছিলোঃ আমার দাদির মৃত্যুর পুর্বে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় আমার আব্বুর খুব খারাপ সময় চলতেছিলো। আমি তখন অনেকটাই ছোট, কিছু সৃতি আমার মনে আছে আবার কিছু কিছু কথা আমার মা বাবার কাছে থেকে শুনেছি। আমার আব্বু সেই সময় ঢাকায় একটা ছোট চাকরি নিয়েছিলেন। অনেকদিন বাসায় আসেন নি। বড়ির কারো সাথে তিনি যোগাযোগ ও করতেন না। আমি ও আমার মা তখন নানার বাড়িতে ছিলাম। অনেকদিন পর তিনি একদিন ফেসবুক একাউন্ট লগইন করেন এবং একটি ম্যাসেজ দেখতে পান। সেখান থেকে আব্বু জানতে পারেন যে তার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। খবরটা শোনার পর তিনি ছুটে চলে আসেন মায়ের কাছে। কতদিন চিকিৎসা হয়েছেন তিনিঃ প্রায় ৪ মাস আব্বু দাদিকে নিয়ে ঢাকা হাসপাতালে থাকেন। এসময় তার ঢাকার চাকরিটা চলে যায়। তিনি চাকরি ছারলেও মাকে ছ...
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
খেরুয়া মসজিদ | শেরপুর বগুড়া | kherua masjid sherpur bogra | Vlog With Talha
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
খেরুয়া মসজিদ - শেরপুর - বগুড়া।
খেরুয়া মসজিদ বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন। এটি মুঘল-পূর্ব সুলতানি আমলের স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে মোগল স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে নির্মিত এই মসজিদটি প্রায় ৪৫০ বছর ধরে টিকে আছে। খেরুয়া মসজিদের অবস্থান বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলা সদরের খোন্দকার টোলায় বা খোন্দকার মহল্লায়। মসজিদের সামনে সবুজ ঘাসে ঢাকা আয়তাকার মাঠ। খেরুয়া মসজিদটির কিনার দিয়ে তাল, নারকে্ আম, কদম গাছের সারি ও এক পাশে আছে ফুলের গাছ। খেরুয়া মসজিদ প্রাঙ্গণটি নিরিবিলি এবং খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। গাছ-গাছালি ঘেরা সবুজ পরিবেশের মাঝে তিন গম্বুজওয়ালা প্রাচীন স্থাপত্যটিকে খুব সুন্দর আর মনোরম দেখায়।
খেরুয়া মসজিদের বিবরণঃ
খেরুয়া মসজিদটি সম্পর্কে স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে কথা বলে আমি জানতে পারি যে এই মসজিদটি একসময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিলো। তবে দেশ স্বাধিন হওয়ার পর মসজিদটি স্থানীয় কিছু মুসলমান পুনরায় সেটা চালু করেন এবং সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করা শুরু করেন যা এখনো পর্যন্ত চলমান আছে। পরবর্তিতে মসজিদটি প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আওতায় চলে যায় আর এখন এই মসজিদটি প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আছে। ইটের প্রাচীরের ওপর লোহার রেলিং দিয়ে পুরো চত্বর ঘেরাও করা হয়েছে। এই মসজিদটির মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ৫৯ শতাংশ। চুন-সুরকির ব্যাবহারে ও পাতলা লাল ইটের তৈরি দেয়ালগুলো ১.৮১ মিটার চওড়া আর এর ছাদে ৩.৭১ মিটার অর্ধ গোলাকৃতির তিনটি গম্বুজ আছে। মিনার, গম্বুজ, নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনিতে পুরো স্থাপত্যটি অত্যন্ত নান্দনিক হয়ে উঠেছে। এর পুর্ব দিকের দেয়ালে তিনটি দরজা আছে আর উত্তর ও দক্ষিন দিকের দেয়ালে আছে আরো দুইটি দরজা। এই দরজাগুলোর কোন চৌকাঠ নেই ফলে এই দরজাগুলোর কোন পাল্লাও ছিলনা। এই দরজাগুলো মসজিদের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা করে। পুর্ব পাশের মাঝের দরজাটির নিচে কালো পাথরের পাটাতন। আর পশ্চিমের দেয়ালে আছে তিনটি মেহরাব। মেহরাবগুলোর ওপরের অংশ চমৎকার কারুকাজখচিত ছিল কিন্ত এখন এই কারুকাজ গুলোর বেশিরভাগই নস্ট হয়ে গেছে।
খেরুয়া মসজিদটি বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিনে লম্বায় ১৭.২৭ মিটার এবং এর প্রস্থ ৭.৪২ মিটার। ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেছিলেন। তাকে এই কাকশাল উপাধি দিয়েছিলো তুর্কিরা। আমি আরো জানতে পারি যে এই খেরুয়া মসজিদের নামকরণও স্পষ্ট নয়। আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া তাঁর বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বইতে উল্লেখ করেছেন যে এই মসজিদের খেরুয়া নামের কোনো ইতিবৃত্ত পাওয়া যায়নি। আরবি বা ফার্সি ভাষায় খেরুয়া বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। তবে ফার্সিতে ‘খায়ের গাহ্’ বলে একটি শব্দ আছে যার অর্থ দাড়ায় কোনো স্থানের ভেতরে। সেখান থেকে ধারনা করা হয় যে, রাজা মানসিংহ যখন বাংলার সুবাদার তখন তিনি শেরপুরে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এই দুর্গের কোনো অস্তিত্ব এখন আর নেই। তবে খেরুয়া মসজিদটি শেরপুর দুর্গের ভেতরে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়, আর ‘খায়ের গাহ্’ থেকে খেরুয়া নাম হতে পারে বলে অনুমান করা যায়।
প্রাচীন এই মসজিদে এখনও নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ জুম্মার নামাজও অনুষ্ঠিত হয়। ৪৫০ বছর পুর্বের এই মসজিদে আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে জুম্মার নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন যা আমার খুব ভালো লেগেছে। খেরুয়া মসজিদটি সবসময়ই খোলা থাকে। আপনি এখানে যেকোন সময় যেকোন দিন আসতে পারেন।
খেরুয়া মসজিদে কিভাবে যাবো?
আপনি যদি বগুড়া থেকে খেরুয়া মসজিদ দেখতে যেতে চান তো বগুড়া থেকে বাসে করে অথবা সিএনজি করে শেরপুর উপজেলা সদর যেতে হবে। তারপর শেরপুর সদর থেকে অটো বা রিক্সায় মাত্র ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে খেরুয়া মসজিদে যেতে পারবেন। আর যদি আপনি ঢাকা থেকে আসেন তো আপনি শেরপুর উপজেলা সদরে নামবেন। তারপর আপনি অটো বা রিক্সায় যেতে পারবেন।
খেরুয়া মসজিদের আশেপাশে কি থাকার জায়গা আছে ?
হ্যাঁ, আপনি চাইলে শেরপুর উপজেলা সদর বেশ কিছু হোটেল আছে খুব কম খরচে আপনি সেখানে থাকতে পারেন আর যদি আপনি ভালো হটেলে থাকতে চান তো বগুড়া নাজ গার্ডেন, পর্যটন মোটেল, হোটেল মম ইন এ থাকতে পারেন।
মেঘাই ঘাটের পরিচিতিঃ বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি প্রধান শখা। যমুনা নদীর পুর্ব নাম ছিলো জোনাই নদী। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে যমুনা নদীর সৃষ্টি হয় যা রাজশাহী ও ঢাকা কে আলদা করে। যমুনা নদীত সর্বাধিক প্রস্থ ১২০০০ মিটার। এই যমুনা নদীর তীর ঘেষা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার এক মনোরম যায়গা মেঘাই ফেরিঘাট নামে পরিচিত। কি আছে এই মেঘাই ঘটেঃ নামে মেঘাই ফেরিঘাট হলেও এই জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছে আর তাইতো প্রতিদিনই অসংখ মানুষের আনাগোনা হয় এখানে। এখানে প্রতিদিন সিরাজগঞ্জ কাজিপুর ও তার আশেপাশের বিভিন্ন যায়গা থেকে এবং বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে আসে প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া গায়ে লাগাতে। এখানে আপনি নদীর তীর ঘেসে বেড়াতে পারবেন। নদীতে নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে ঘুরতে পারবেন। আপনি চাইলে নদীর ওপারে মাইঝবাড়ি গ্রামে যমুনার জেগে ওঠা চড়ে গিয়ে সময় কটাতে পারেন। এছাড়াও আপনি বন্ধুবান্ধব নিয়ে নৌকা ভাড়া করে নাটুয়ার পাড়া চড়ে সারাদিন হৈ হুল্লোড় করে কাটাতে নিমিষেই দিন কাটাতে পারেন। ছুটির...
সম্মানিত ভিউয়ার্স, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি বেড়াতে এসেছিলাম আমার নানীর বাড়ি। আমার নানীর বাড়ির পাশেই আছে অনেক বছর আগের একটা জলাশয় আছে। আজ আমি কথা বলবো ঐতিহ্যবাহী চিকাশি মরছা নিয়ে। কিভাবে মরছা'র উৎপত্তি হয় ও তার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে। চিকাশি মরছা'র উৎপত্তিঃ ভিউয়ার্স, স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে কথা বলে আমি জানতে পারি এই মরছা টি অনেক বছর পুর্বে একসময় মানাষ নদীর সাথে যুক্ত ছিলো। সময়ের ব্যাবধানে এই মরছা টি মানাষ নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে তখন এর স্থানীয় নাম হয় যমুনা। আরো বেশ কিছু্ সময়ের ব্যাবধানে কালের পরিবর্তনে এর নাম হয়ে ওঠে মরছা। এই মরছা টি বগুরা জেলার ধুনট থানার চিকাশি ইউনিয়নের অন্তরভুক্ত। এই ইউনিয়নের মোট আয়তন ১২ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এই ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিলো ২৩,৭৫০ জন। এই ইউনিয়ন ১৭টি গ্রাম ও ৭টি মৌজা নিয়ে গঠিত।একসময় এই জলাশয়ে প্রাকিতিক ভাবেই মাছ তৈরি হতো তখন স্থানিয় বাসিন্দারা ও মরছা'র আশে পাশের গ্রামের লোকেরা এই জলাশয়ের মাছ মেরে খেতো। তখন এই মরছা'য় দেশীয় যাতের অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যেতো। সেগুলো মাছের স...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন