একটি হৃদয়বিদারক সত্য গল্প থাইরয়েড ক্যানসার | A Heartbreaking True Story of Thyroid Cancer

আমার জন্মদিনের সব টাকা কেন মাদ্রাসায় দান করলাম জানতে চান ? হ্যাঁ সেই গল্পই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি আবু তালহা আমি একজন ছাত্র। আমি আমার বাবা মা এর একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকে অর্থাৎ (যখন থেকে আমি একটু বুঝতে শিখেছি) তখন থেকেই অনেক ধুমধাম করে আমার জন্মদিন পালন করা হতো। জন্মদিনের কেক কাটা, বন্ধুদের দাওয়াত দেয়া আমার বাড়ির সবাইকে আমার জন্মদিনের কেক খাওয়ানো ইত্যাদি। কিন্ত এবার আমি ভাবলাম জন্মদিনে এমন কিছু করবো যাতে করে আমার আল্লাহ্ আমার উপর খুশি হন।
প্রতিবারের মতো এবার ও আমার জন্মদিন পালন করার বিষয়ে আমার আব্বু আম্মুকে বলি যে এবার আমি এমন কিছু করতে চাই যাতে করে আল্লাহ্ খুশি হন এবং মানুষের ও উপকার হয়। আব্বু আমাকে বলেন যে আমি দিনটি কিভাবে পালন করতে চাই বা আমি কি স্পেশাল কিছু করতে চাই কিনা। আমি তেমন কিছু বুঝতে পারিনা। আব্বু আমাকে আমার চারপাশের মানুষ ও পরিবেশ নিয়ে কিছুক্ষন ভাবতে বলেন। আমিতো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠাত আমার বাড়ির পাশে মাদ্রাসার এতিম ছেলেদের কথা মনে পড়ে গেলো। আমি এবার তাদের নিয়ে কিছু করতে চাই কারন আমি দেখেছি তাদের অসহায়ত্ত। আমি আব্বুকে কথাটা বলতেই আব্বু হেসে দিলেন। তার পর আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরলেন আমাকে অনেক আদর করলেন। আব্বুকে খুব খুশি খুশি লাগলো। তার পর আব্বু আমাকে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর একটা গল্প শুনালেন। গল্পটা ছিলো একজন এতিম ছেলেকে নিয়ে। আব্বুর গল্পটা শুনে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো কারন একজন এতিম ছেলের জীবনে অনেক কস্ট থাকে যা আমরা কখনো জানতেও চাইনা বুঝতেও চাইনা। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এবার আমার জন্মদিন উপলক্ষে যতটাকা খরচ হবে সব টাকা আমি তাদের দিয়ে দিবো। আমি এবার আমার জন্মদিন এভাবেই পালন করবো। আব্বুকে বললাম সে কথা। আব্বু বললেন তাহলে তুমি তোমার জন্মদিনের সব টাকা মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ডে দান করে দাও।
আব্বুর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে ছুটে গেলাম আমার বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় হুজুরের কাছে। হুজুরকে বিষয়টা খুলে বললাম, হুজুর আমার কথা শুনে অনেক খুশি হলেন। আমাকে অনেক দোয়া করলেন। অনেক আদর করলেন। আমি আমার জন্মদিনের টাকা টা হুজুরের হাতে তুলে দিলাম। টাকা টা মাদ্রাসায় দান করে মনে এক অন্য রকম অনুভুতি অনুভব করলাম। কেমন যেনো মন ভরে গেলো। এভাবেই আমি এবার আমার জন্মদিন পালন করলাম। আমি যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারি। সেই সাথে যেন আমি আমার বাবা মা এর ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পুরন করতে পারি।
সম্মানিত পাঠক, আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন বড় হয়ে দেশ ও দেশের কল্যানে কাজ করতে পারি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন